স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আমাদের এলাকায় থাকতে দিচ্ছি না। তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

রবিবার (১৬ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, যেকোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী বা কোনো জঙ্গি সংগঠন যদি বাংলাদেশের কোনো জায়গায় অবস্থান করে, আমরা তাদের দ্রুত সরিয়ে দিচ্ছি।

কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গিদের কোনো সংযোগ রয়েছে কি না প্রশ্নে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এগুলো আমরা দেখছি। যদি সংযোগ পাই, সেটা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে আমরা ধারণা করছি, জঙ্গি বাহিনীর বা যেসব জঙ্গিরা সেখানে গিয়েছিল, কেএনএফের ক্যাম্পের পাশাপাশি তারা অবস্থান করছিল।

আমরা এসব ঘটনা দেখেছি। কয়েকজনকে ধরেছি, শনাক্তও করেছি। সবগুলোকে এনে জিজ্ঞাসা করে তথ্য জেনে আপনাদেরকে জানাব।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিস এখন আর ঠুনকো দমকল বাহিনী না। আগে আগুন নেভার পরে তারা ঘটনাস্থলে যেত। কিন্তু এখন সংবাদ পেতে দেরি ঘটনাস্থলে যেতে দেরি হয় না। এখন সেই অবস্থা আর নেই।

এই সরকারের আমলে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার স্টেশন হবে, সেই ধারাবাহিকতা চলছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ফায়ার সার্ভিস এখন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত হয়, ঝাঁপিয়ে পড়ে। বর্তমানে যে টিটিএল গাড়ি সংযোজিত হলো, এতে ২৪ তলা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণ বা যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব।

এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ফায়ার সার্ভিসের ছয় হাজার জনবল ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা ১৪ হাজারে উন্নীত হয়েছে। ১৬ হাজার এবং তারপর ৩১ হাজারে উন্নীত করতে কাজ চলছে।

মন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিস এখন শুধু দুর্যোগে কাজ করছে না। যেকোনো সড়ক দুর্ঘটনায় তারা কাজ করছে। এ সময় আহত বা নিহতদের উদ্ধার করে তাদের অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিচ্ছে। বর্তমানে সংস্থাটিতে ১৯০টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। আরও ৭৫৭টি অ্যাম্বুলেন্স কেনা হবে।

এর আগে, অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজের জন্য বিশ্বের সর্বাধিক উচ্চতার টার্ন টেবল লেডারের (টিটিএল) উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।